ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপির নেতৃত্বে নতুন দিগন্ত? দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান কোটা ছাড়াই বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সফল শারীরিক প্রতিবন্ধী উল্লাস – এক অনুপ্রেরণার গল্প ভোটের তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিইসি’র বক্তব্য ইরান যুদ্ধ: জনমত তৈরিতে কেন ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র? গভীর বিশ্লেষণ আবু সাঈদ হত্যা মামলার ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ৪ জন কারাগারে জগন্নাথের ছাত্রদের জন্য আধুনিক হোস্টেল চালু আস-সুন্নাহর মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচন করবেন? বিএনপি নেতার সন্দেহে রাজনীতিতে নতুন আলোচনার ঝড় উঠেছে দরজা ভেঙে গণধর্ষণ: মুরাদনগরে প্রধান আসামিসহ পাঁচজন আটক উমামা ফাতেমার পদত্যাগ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নতুন সংকট নরসংদীতে রক্তাক্ত রাজনীতি: গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে প্রাণ ঝরছে

কোভিড-১৯ প্রতিরোধ

স্বাস্থ্যবিধি মানুন, করোনার ঝুঁকি কমান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্যবিধি মানুন, reduce the risk of corona

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

🗞️ সাম্প্রতিক পরিস্থিতি

১. দেশে ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কোভিড সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি চিন্তার বিষয়। তাই এখনই সতর্ক হওয়ার সময়—নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার প্রয়োগ এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মৃতের সংখ্যা ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে কিছু মৃত্যু ঘটেছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসক ডাঃ আশিস মিত্র জানান, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছেন বয়স্ক নাগরিক এবং যাঁরা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, অ্যাজমা–সিওপিডি বা ক্যানসারের মতো দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভুগছেন। এসব রোগীর ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অপরিহার্য।

🧬 নতুন স্ট্রেইন JN.1

JN.1 নামের নতুন কোভিড স্ট্রেইনটি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও একে এখনো অত্যন্ত মারাত্মক বলা হয়নি, তবে এর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।

করোনা না ফ্লু – কীভাবে চিনবেন পার্থক্য?

ডাঃ আসিস মিত্র জানান, জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দিলে সেটি সাধারণ ফ্লু না কোভিড—তা বোঝার কিছু নির্দিষ্ট উপায় রয়েছে। কোভিডে সাধারণত স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এছাড়া শ্বাসকষ্ট দ্রুত বাড়তে থাকে, যা ফ্লু-তে সাধারণত হয় না। উপসর্গ শুরু হওয়ার পর যদি তা তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয় বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তবে দ্রুত করোনা টেস্ট করানো উচিত।

সুস্থ হওয়ার সময় ও ‘লং কোভিড’-এর প্রভাব

চিকিৎসক ডাঃ উৎসব দাসের মতে, বর্তমানের কোভিড স্ট্রেইনগুলি—যেমন JN.1 ও LF.7—তুলনামূলকভাবে কম ভয়াবহ হলেও বেশ সংক্রামক। সাধারণত আক্রান্তরা ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে “লং কোভিড”-এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়, যেখানে কাশি, অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং স্মৃতিভ্রংশের মতো উপসর্গ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে থাকতে পারে।

🍽️ পুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাস – কী খাবেন এই সময়ে?

কোভিড আক্রান্ত অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, যেমন—চিকেন—খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন B6 এবং সেলেনিয়ামের মতো উপাদান থাকে, যা শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।

ডায়েটে অতিরিক্ত তেলেভাজা এড়িয়ে চলা উচিত। বরং সুষম খাবার হিসেবে শাক-সবজি, ডিম, মাছ, দুধ ও ডাল অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল (যেমন কমলা, আমলা, পেয়ারা) খাদ্যতালিকায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

🩺 প্রতিরোধমূলক কৌশল ও স্বাস্থ্যবিধি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড প্রতিরোধে ১১ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম:

  • সম্ভব হলে জনসমাগম এড়িয়ে চলুন; বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
  • হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢাকতে বাহু বা টিস্যু ব্যবহার করুন।
  • ব্যবহৃত টিস্যু অবশ্যই ঢাকনাযুক্ত ঝুড়িতে ফেলে দিন।
  • নিয়মিত হাত ধুতে হবে—সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে।

এ ছাড়া, চিকিৎসক ডাঃ শিঞ্জিনী ঘোষের মতে, বুস্টার ডোজ ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশে বুস্টার ডোজ সহজলভ্য নয়, তবে বছরে অন্তত একবার টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে—এ জন্য সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষা করতে হবে।

👥 বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সতর্কতা ও প্রতিকার

উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য:
বয়স্ক, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত বা ইমিউনো-সাপ্রেসড (যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম) ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার প্রয়োগ এখন যেন “অর্ধেক জীবন”। এমনকি ঘরের মধ্যেও সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন।

ভিড় থেকে দূরে থাকুন:
মহামারির উচ্চ সংক্রমণের সময় জনসমাগম এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা:
যদি কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে ৩ দিনের মধ্যেই করোনা টেস্ট করানো উচিত। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বিলম্ব না করে দ্রুত পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

বাসায় উপসর্গ দেখা দিলে করণীয়:
প্রাথমিকভাবে বাড়িতেই বিশ্রাম, প্রচুর পানি পান এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করা যায়। তবে উপসর্গ গুরুতর হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

📊 সারাংশ

বিষয়সর্বশেষ পাওয়া তথ্যসাবধানতা ও পরামর্শ
সংক্রমণ বৃদ্ধিদেশে ও আশেপাশে বাড়ছেমাস্ক, হাত ধোয়া, ভিড় এড়া
ঝুঁকির শ্রেণিবয়স্ক ও দীর্ঘ রোগীবাড়তি সতর্কতা ও টেস্ট
নতুন স্ট্রেইনJN.1 দ্রুত ছড়াচ্ছেমাস্ক + স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
উপসর্গ পার্থক্যস্বাদ-গন্ধ হারানো, শ্বাসকষ্টতিন দিনের বেশি হলে টেস্ট
ডায়েটপ্রোটিন + ফল-শাকচিকেন, ডিম, মাছ, ফলসহ
টিকাবুস্টার ডোজ প্রয়োজনীয়সম্ভব হলে প্রাপ্তির অপেক্ষা
স্বাস্থ্য নির্দেশনা১১ দফা অনুসরণ করুনজনসমাগম এড়ান, হাত–মুখ পরিষ্কার

✅ করণীয় (সুনির্দিষ্ট প্রয়োগ)

  1. মাস্ক ব্যবহারে নিয়মিত হোন – ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক ছাড়া বের হওয়া নিষেধ।
  2. হাত পরিষ্কার রাখুন – দিনে অনেকবার ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ধোয়া জরুরি।
  3. ওজন–সম্পূর্ণ ডায়েট নিন – ফল, সবজি, সাদা/হালকা প্রোটিন (চিকেন, ডিম, মাছ, দুধ) রাখুন ডায়েটে।
  4. জনশূন্যভাবে চলাফেরা করুন – ভিড় ও জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট এলাকা।
  5. স্বাস্থ্য ঝুঁকি বুঝুন – জ্বর/সর্দি/গন্ধ–স্বাদ হারাবে বুঝলেই ৩ দিনের মধ্যে টেস্ট করান।
  6. উঁচু ঝুঁকিতে থাকলে – বাড়িতে সতর্ক হোন; উপসর্গ শুরু হলে প্রথমে স্বাবলম্বনে চিকিৎসা নিন।
  7. বুস্টার ডোজ – দেশে না পাওয়া গেলে সরকারি ঘোষণা অপেক্ষা করুন; অন্যান্য দেশে দিলে ইমিউনটি তাজা থাকবে।
  8. লং কোভিড সচেতনতা – সংক্রমণের পরেও ক্লান্তি–বিষণ্ণতা থাকলে সঠিক পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিন।

বিস্তারিত জানতে কিক্ল করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোভিড-১৯ প্রতিরোধ

স্বাস্থ্যবিধি মানুন, করোনার ঝুঁকি কমান

আপডেট সময় : ১১:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

🗞️ সাম্প্রতিক পরিস্থিতি

১. দেশে ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কোভিড সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি চিন্তার বিষয়। তাই এখনই সতর্ক হওয়ার সময়—নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার প্রয়োগ এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মৃতের সংখ্যা ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে কিছু মৃত্যু ঘটেছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসক ডাঃ আশিস মিত্র জানান, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছেন বয়স্ক নাগরিক এবং যাঁরা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, অ্যাজমা–সিওপিডি বা ক্যানসারের মতো দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভুগছেন। এসব রোগীর ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অপরিহার্য।

🧬 নতুন স্ট্রেইন JN.1

JN.1 নামের নতুন কোভিড স্ট্রেইনটি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও একে এখনো অত্যন্ত মারাত্মক বলা হয়নি, তবে এর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।

করোনা না ফ্লু – কীভাবে চিনবেন পার্থক্য?

ডাঃ আসিস মিত্র জানান, জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দিলে সেটি সাধারণ ফ্লু না কোভিড—তা বোঝার কিছু নির্দিষ্ট উপায় রয়েছে। কোভিডে সাধারণত স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এছাড়া শ্বাসকষ্ট দ্রুত বাড়তে থাকে, যা ফ্লু-তে সাধারণত হয় না। উপসর্গ শুরু হওয়ার পর যদি তা তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয় বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তবে দ্রুত করোনা টেস্ট করানো উচিত।

সুস্থ হওয়ার সময় ও ‘লং কোভিড’-এর প্রভাব

চিকিৎসক ডাঃ উৎসব দাসের মতে, বর্তমানের কোভিড স্ট্রেইনগুলি—যেমন JN.1 ও LF.7—তুলনামূলকভাবে কম ভয়াবহ হলেও বেশ সংক্রামক। সাধারণত আক্রান্তরা ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে “লং কোভিড”-এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়, যেখানে কাশি, অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং স্মৃতিভ্রংশের মতো উপসর্গ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে থাকতে পারে।

🍽️ পুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাস – কী খাবেন এই সময়ে?

কোভিড আক্রান্ত অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, যেমন—চিকেন—খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন B6 এবং সেলেনিয়ামের মতো উপাদান থাকে, যা শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।

ডায়েটে অতিরিক্ত তেলেভাজা এড়িয়ে চলা উচিত। বরং সুষম খাবার হিসেবে শাক-সবজি, ডিম, মাছ, দুধ ও ডাল অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল (যেমন কমলা, আমলা, পেয়ারা) খাদ্যতালিকায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

🩺 প্রতিরোধমূলক কৌশল ও স্বাস্থ্যবিধি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড প্রতিরোধে ১১ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম:

  • সম্ভব হলে জনসমাগম এড়িয়ে চলুন; বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
  • হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢাকতে বাহু বা টিস্যু ব্যবহার করুন।
  • ব্যবহৃত টিস্যু অবশ্যই ঢাকনাযুক্ত ঝুড়িতে ফেলে দিন।
  • নিয়মিত হাত ধুতে হবে—সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে।

এ ছাড়া, চিকিৎসক ডাঃ শিঞ্জিনী ঘোষের মতে, বুস্টার ডোজ ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশে বুস্টার ডোজ সহজলভ্য নয়, তবে বছরে অন্তত একবার টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে—এ জন্য সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষা করতে হবে।

👥 বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সতর্কতা ও প্রতিকার

উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য:
বয়স্ক, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত বা ইমিউনো-সাপ্রেসড (যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম) ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার প্রয়োগ এখন যেন “অর্ধেক জীবন”। এমনকি ঘরের মধ্যেও সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন।

ভিড় থেকে দূরে থাকুন:
মহামারির উচ্চ সংক্রমণের সময় জনসমাগম এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা:
যদি কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে ৩ দিনের মধ্যেই করোনা টেস্ট করানো উচিত। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বিলম্ব না করে দ্রুত পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

বাসায় উপসর্গ দেখা দিলে করণীয়:
প্রাথমিকভাবে বাড়িতেই বিশ্রাম, প্রচুর পানি পান এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করা যায়। তবে উপসর্গ গুরুতর হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

📊 সারাংশ

বিষয়সর্বশেষ পাওয়া তথ্যসাবধানতা ও পরামর্শ
সংক্রমণ বৃদ্ধিদেশে ও আশেপাশে বাড়ছেমাস্ক, হাত ধোয়া, ভিড় এড়া
ঝুঁকির শ্রেণিবয়স্ক ও দীর্ঘ রোগীবাড়তি সতর্কতা ও টেস্ট
নতুন স্ট্রেইনJN.1 দ্রুত ছড়াচ্ছেমাস্ক + স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
উপসর্গ পার্থক্যস্বাদ-গন্ধ হারানো, শ্বাসকষ্টতিন দিনের বেশি হলে টেস্ট
ডায়েটপ্রোটিন + ফল-শাকচিকেন, ডিম, মাছ, ফলসহ
টিকাবুস্টার ডোজ প্রয়োজনীয়সম্ভব হলে প্রাপ্তির অপেক্ষা
স্বাস্থ্য নির্দেশনা১১ দফা অনুসরণ করুনজনসমাগম এড়ান, হাত–মুখ পরিষ্কার

✅ করণীয় (সুনির্দিষ্ট প্রয়োগ)

  1. মাস্ক ব্যবহারে নিয়মিত হোন – ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক ছাড়া বের হওয়া নিষেধ।
  2. হাত পরিষ্কার রাখুন – দিনে অনেকবার ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ধোয়া জরুরি।
  3. ওজন–সম্পূর্ণ ডায়েট নিন – ফল, সবজি, সাদা/হালকা প্রোটিন (চিকেন, ডিম, মাছ, দুধ) রাখুন ডায়েটে।
  4. জনশূন্যভাবে চলাফেরা করুন – ভিড় ও জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট এলাকা।
  5. স্বাস্থ্য ঝুঁকি বুঝুন – জ্বর/সর্দি/গন্ধ–স্বাদ হারাবে বুঝলেই ৩ দিনের মধ্যে টেস্ট করান।
  6. উঁচু ঝুঁকিতে থাকলে – বাড়িতে সতর্ক হোন; উপসর্গ শুরু হলে প্রথমে স্বাবলম্বনে চিকিৎসা নিন।
  7. বুস্টার ডোজ – দেশে না পাওয়া গেলে সরকারি ঘোষণা অপেক্ষা করুন; অন্যান্য দেশে দিলে ইমিউনটি তাজা থাকবে।
  8. লং কোভিড সচেতনতা – সংক্রমণের পরেও ক্লান্তি–বিষণ্ণতা থাকলে সঠিক পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিন।

বিস্তারিত জানতে কিক্ল করুন