বিপুল পরিমাণ রকেট নিক্ষেপ করেছে ✅
বিপুল পরিমাণ রকেট নিক্ষেপ করেছেন | আল কুদস দখলদাররা যখনই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সামনে এগোবে | তখনই দেখবে সামনে প্রতিরোধ |


- আপডেট সময় : ০৩:০৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
আসসালামুয়ালাইকুম। নিউজমিডিয়াবিডি.কম সবাইকে স্বাগতম। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচিত সংবাদ ও বিশ্লেষণ যুদ্ধের 224 দিন পরও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে নেই কোনও ক্লান্তি।
শনিবার এক হামলায় 15 জন সহ প্রায় 20 ইসরায়েলি সেনাকে নির্মূল করেছেন তারা। হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র বলেছেন, তাদের যোদ্ধারা দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। ইসমাইলকে পরাজিত না করা পর্যন্ত বিশ্রাম নেবেন না।
তাঁরা সেনাঘাঁটিতে একনাগাড়ে পঞ্চাশটি গড রকেট নিক্ষেপ করে ইসরাইলের নাভিশ্বাস তুলেছে। হিজবুল্লাহ দখলদারদের বুকে আঘাত হেনেছেন ইরাকি যোদ্ধারাও ইমরানের যোদ্ধারা৷ ভূপাতিত করেছেন তিনি
কোটি ডলারের মার্কিন ড্রোন এদিকে লক্ষ্যহীন ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় বড় ফাটলের খবর দিয়েছে দেশটির মিডিয়া আল মায়াদিন।
এর খবরে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আসা ফ্ল্যাটে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার রাফা শহরের পূর্বে আলতা নূরে বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি সেনার অবস্থান নেওয়া একটি সুরক্ষিত বাড়িতে এন্টি পার্সোনাল মাইন রাডিয়ার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে 15 সেনা কে নির্মূল করেছেন।
হামাসের যোদ্ধারা। এরপর তারা ওই বাড়িতে থাকা অন্য সেনাদের উপর লাইট মেশিনগান এবং হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে একেবারে কাছাকাছি অবস্থান থেকে ঝটিকা হামলা চালান


হামাসের আল কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, এ ছাড়া হেভি ক্যালিবার মর্টার শেল ব্যবহার করে তারা জাবালিয়া ক্যাম্পের পূর্বে দখলদারদের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল হেডকোয়ার্টারে আঘাত হেনেছেন।
এসময় তাদের স্নাইপারদের হাতে আরও এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। এ দিন সকালে একই স্থানে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আল ইয়াসিন 105 শেলের মাধ্যমে সফলভাবে আকস্মিক হামলা চালিয়ে
আরও এক সেনা সহ একটি মার্কা বা ট্যাংক এবং একটি ক্যারিয়ার ধ্বংস করেন। কাশ্মীর যোদ্ধারা একই সময়ে একটি টানেলে প্রবেশ পথে ইসরাইলী সেনারা পৌঁছলে সেখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সেখানে বিস্ফোরণে আরও একটি ছবি
ক্যারিয়ার উড়ে যায় জাবালির পূর্বে আসামের বোমা ইসরায়েলি সেনাদের সাপ্লাই লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসময় পিকেএম মেশিনগান থেকে সেনা সমাবেশের গুলি ছোড়া হয়।
শুক্রবার জাবালিয়া ক্যাম্পের আবু আল আইস স্ট্রিটে দুটি আলাদা ভবনে দুই ইসরাইলী স্নাইপার কে হত্যা করেন তারা। প্যালেস্টাইন ক্রনিকল জানিয়েছে,
মুজাহিদিন মুভমেন্টের মুজাহিদিন ব্রিগেড যাওয়ার পূর্বে আরপিজি শেলের মাধ্যমে ইসরাইলি মার্কা বা ট্যাঙ্কে আঘাত করার কয়েকটি দৃশ্য প্রকাশ করেছে।
পপুলার রেসিসট্যান্স কমিটি ইন প্যালেস্টাইনের এলেন নাসির সালাহ আল দিন ব্রিগেড জানিয়েছে, ইসলামিক জিহাদ আল কুদস এর সঙ্গে যৌথভাবে তারা ইসরাইলের 17 বসতিতে
বিপুল পরিমাণ রকেট নিক্ষেপ করেছেন আল কুদস। এর তরফে জানানো হয়, অ্যান্টি পারসোনেল টি ভি মিসাইল এর মাধ্যমে তাদের যোদ্ধারা জাবালিয়ার ইস বেত মিলের একটি ঘরে লুকিয়ে থাকা ইসরায়েলি বাহিনীর উপর হামলা চালান।
তাঁরা জাবালিয়া শহরের পূর্বে আলা কাশিফ হিলে ইসরাইলি সেনা দল এবং তাদের গাড়িগুলোকে লক্ষ্য করে এবং জাবালিয়া ক্যাম্পের পূর্বে একটি সেনা সমাবেশ ও মর্টার হামলা করেন। আল কুদস বলেছে,
শুক্রবার তারা ফের পূর্বে আল সুবাইল মসজিদের পাশে ইসরাইলী সেনা দল এবং তাদের গাড়িগুলোকে লক্ষ্য করে হেভি ক্যালিবার এর মর্টার শেল নিক্ষেপ করেন। এতে কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন।


তাদের যোদ্ধারা রাফার পূর্বে জ্বালা তা এলাকায় দখলদারদের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে মর্টার শেলের একটি ভাইরাসের মাধ্যমে হামলা চালান।
107 মিসাইল লঞ্চারের মাধ্যমে ওই সেন্টারে এদিন দ্বিতীয়বারের মতো সরাসরি আঘাত করেন তারা। আল আকসা মার্টার্স জানিয়েছে, রাফাল অ্যান্ড ক্রসিং এর পাশে অবস্থান করে ইসরাইলি সাধন গুলোর ওপর মর্টার হামলা চালিয়েছে।
তারা ইসরায়েলি মিডিয়া শনিবার নিশ্চিত করেছে গাজার উত্তরাঞ্চলের যুদ্ধে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া ওই অঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন বন্দির লাশ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। বিবিসির খবরে বলা হয়, নিহত সেনার নামবেন
অভিসার। তিনি প্যারাট্রুপার্স ব্রিগেডে এর কম্পিউটার কমিউনিকেশন্স কোম্পানির সার্জেন্ট। তাঁর মৃত্যুতে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে আই ডি এফের স্থল অভিযানে নিহত সেনা সংখ্যা দাঁড়াল দুইশ 80 জনের।
এদিকে নিহত তিন বন্দির নাম সাহানি লোক অমিত বস্কি লা এবং আইজ্যাক গেলেন। তাঁর এই তিনজন সাত ই অক্টোবর হামাসের অভিযানের সময় ইসরাইলের নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে নিহত হন।
এরপর তাদের লাশ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। লাশগুলো একটি সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন তারা। আল মায়াদিন এর খবরে বলা হয়, গাজায় নিহত সেনাদের সংখ্যা প্রকাশ্যে


কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় যুদ্ধের প্রকৃত নিহত সেনা সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। গাজায় স্থল অভিযানে নিহত সেনা সংখ্যা দুইশ 80 বলা হলেও হামাসের বক্তব্য এর আসল সংখ্যা বহুগুণ বেশি৷ আল কাসাম ব্রিগেড এর মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেছেন,
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আগ্রাসন যত দীর্ঘস্থায়ী হোক না কেন ফিলিস্তিনিরা রাফা এবং গাজার অন্যান্য স্থানে শত্রুদের শক্ত জবাব দিতে থাকবেন।
আমরা শত্রুর বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তাদেরকে আমরা একটি জলাভূমিতে টেনে নিয়ে যাচ্ছি, যেখানে তারা তাদের সেনাদের মৃত্যু এবং কর্মকর্তাদের বন্দীত্ব ছাড়া


আর কিছুই পাবে না। আমাদের সামরিক শাখার মুখপাত্র বলেন, দখলদাররা যখনই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সামনে এগোবে তখনই দেখবে সামনে প্রতিরোধ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং News Media BD Post দেখতে থাকুন।
















