ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বাস্থ্যবিধি মানুন, করোনার ঝুঁকি কমান Amazon কীভাবে গ্যারেজ থেকে গ্লোবাল ব্র্যান্ড হলো ফ্রিল্যান্সিং The path to building a career by becoming your own boss দিয়ে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব? নতুন নিয়মে চ্যাম্পিয়নস লিগ _Top Teams Benefit ন্যায়বিচারের জন্য গ্রেটার গাজা যাত্রা Greta’s Gaza Journey for Justice মাছের খাবারের ছদ্মবেশে ২.৮৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ, বিজিবির অভিযানে ধরা চোরাকারবারির চক্র বঙ্গোপসাগরে কি সত্যি ঘনাচ্ছে ভয়াবহ সাইক্লোন? এবার আসল আপডেট দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের প্রতি একটি কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে স্টারলিংক লাইসেন্স অনুমোদন পেল বাংলাদেশে পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী: ভারতের জন্য প্রস্তুত ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র | হানিফ আব্বাসির হুঁশিয়ারি

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী: ভারতের জন্য প্রস্তুত ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র | হানিফ আব্বাসির হুঁশিয়ারি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী: ভারতের জন্যই ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত
পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি সম্প্রতি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র এমনি এমনি সাজিয়ে রাখা হয়নি। এগুলো বিশেষভাবে ভারতের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান এবং ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার এক বক্তব্যে মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি বলেন, এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের দিকেই তাক করা আছে।” তার এই মন্তব্য দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ — ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের এ ধরনের কড়া হুঁশিয়ারি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এর আগে ভারত ও পাকিস্তান তিনবার যুদ্ধ করেছে, যার মধ্যে দুটি ছিল কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে দুই দেশ কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন একসময় হিমালয় অঞ্চলকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার সেই মন্তব্য আবারও আলোচনায় এসেছে।

পাকিস্তান তাদের ‘ফুল স্পেকট্রাম ডিটারেন্স’ নীতির আওতায় ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। অন্যদিকে ভারত ‘কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন’ অনুযায়ী দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই বিপরীত কৌশলগুলোর কারণে যেকোনো সামরিক সংঘর্ষ দ্রুতই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, “জনগণের চাপ, হামলার ভয়াবহতা এবং প্রতিরোধ শক্তি পুনর্গঠনের ইচ্ছার কারণে ভারত সীমিত সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।” তবে তিনি মনে করেন, সরাসরি সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা কম।

এদিকে, পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও এখনো সরাসরি কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি, তবে অতীতে পাকিস্তান ভারতবিরোধী সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানি কূটনীতিক ও নাগরিকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদও একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের রেলমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে, যদিও উভয় দেশই সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে।

আরো জানতে কিক্ল করুন 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী: ভারতের জন্য প্রস্তুত ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র | হানিফ আব্বাসির হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ১১:৩৯:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী: ভারতের জন্যই ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত
পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি সম্প্রতি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র এমনি এমনি সাজিয়ে রাখা হয়নি। এগুলো বিশেষভাবে ভারতের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান এবং ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার এক বক্তব্যে মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি বলেন, এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের দিকেই তাক করা আছে।” তার এই মন্তব্য দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ — ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের এ ধরনের কড়া হুঁশিয়ারি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এর আগে ভারত ও পাকিস্তান তিনবার যুদ্ধ করেছে, যার মধ্যে দুটি ছিল কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে দুই দেশ কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন একসময় হিমালয় অঞ্চলকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার সেই মন্তব্য আবারও আলোচনায় এসেছে।

পাকিস্তান তাদের ‘ফুল স্পেকট্রাম ডিটারেন্স’ নীতির আওতায় ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। অন্যদিকে ভারত ‘কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন’ অনুযায়ী দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই বিপরীত কৌশলগুলোর কারণে যেকোনো সামরিক সংঘর্ষ দ্রুতই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, “জনগণের চাপ, হামলার ভয়াবহতা এবং প্রতিরোধ শক্তি পুনর্গঠনের ইচ্ছার কারণে ভারত সীমিত সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।” তবে তিনি মনে করেন, সরাসরি সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা কম।

এদিকে, পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও এখনো সরাসরি কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি, তবে অতীতে পাকিস্তান ভারতবিরোধী সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানি কূটনীতিক ও নাগরিকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদও একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের রেলমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে, যদিও উভয় দেশই সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে।

আরো জানতে কিক্ল করুন