ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরা
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের প্রতি একটি কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে

- আপডেট সময় : ০৩:০৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামোফোবিয়া: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে ধর্মীয় নেতৃত্বের কণ্ঠে প্রতিবাদ
ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ —
‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামোফোবিয়া: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ এক সেমিনার আজ বুধবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের আয়োজনে আয়োজিত এ সেমিনারে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম, গবেষক ও বিশ্লেষকগণ অংশ নেন।
সেমিনারের উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট

সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন’ গঠনের পেছনের ভাবনা, কাঠামো ও দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করা এবং এতে ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দিকগুলো তুলে ধরা। আলোচকেরা দাবি করেন, এই কমিশনের কার্যক্রমে ‘ইসলামোফোবিক’ মনোভাব স্পষ্ট, যা দেশের ধর্মীয় চেতনার জন্য হুমকিস্বরূপ।
মূল বক্তব্যসমূহ
সেমিনারে বক্তারা বলেন,
“নারী-অধিকার নিশ্চিত করার নামে ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত করা যাবে না। সংস্কার হতে পারে, তবে তা হতে হবে সমাজ ও ধর্মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।”
— মাওলানা হাবিবুর রহমান, চিফ কো-অর্ডিনেটর, উলামা-মাশায়েখ পরিষদ
একাধিক বক্তা অভিযোগ করেন, কমিশনের সুপারিশসমূহ মুসলিম পারিবারিক আইন, শরিয়াহ ও সামাজিক রীতিনীতিকে পাশ কাটিয়ে একধরনের ‘পশ্চাৎমুখী আধুনিকতা’ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও তাঁদের অবস্থান
সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত প্রখ্যাত আলেম, খতিব ও মাদ্রাসা প্রতিনিধিরা। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষকরাও আলোচনায় অংশ নেন। বক্তাদের অনেকেই সরকারের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে কোনো কমিশন টিকিয়ে রাখা যাবে না।
সুপারিশ ও দাবি

সেমিনার শেষে ৫ দফা সুপারিশ পেশ করা হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল:
- নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল
- ধর্মীয় প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে নতুন কাঠামো প্রণয়ন
- ইসলাম ও শরিয়াহর প্রতি সম্মান বজায় রেখে যেকোনো আইন সংশোধন
সমাপ্তি বক্তব্য ও করণীয় আহ্বান
জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের পক্ষ থেকে সমাপ্তি বক্তব্যে বলা হয়,
“আমরা দেশের শান্তি, মূল্যবোধ ও ধর্মীয় ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ। ইসলামোফোবিক যেকোনো উদ্যোগের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান দৃঢ় থাকবে।