মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের চুক্তির প্রস্তাব
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তি সম্ভব: Trump


- আপডেট সময় : ০৭:৪৪:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
🔎 মুখবন্ধ:
বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন। তাঁর মতে, যদি তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরেন, তাহলে “সহজেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি করানো সম্ভব।” এই মন্তব্য শুধু আমেরিকার নয়, গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
📰 ট্রাম্প কী বলেছিলেন?
“আমি থাকলে যুদ্ধ হতো না। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এমন এক সমঝোতা করতাম, যা সবাইকে অবাক করত। শান্তি আনা যেত সহজেই, শুধু দরকার ছিল সঠিক নেতৃত্ব।”
এ বক্তব্য তিনি দেন একটি নির্বাচনী প্রচারসভায়, যেখানে মধ্যপ্রাচ্য নীতির ওপর জোর দেন তিনি।
🌍 ইরান-ইসরায়েল সংকটের পটভূমি


ইরান ও ইসরায়েল—দুই দেশই মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর রাষ্ট্র। কিন্তু উভয়ের রাজনৈতিক আদর্শ এবং কৌশলগত অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা নিয়ে বহু বছর ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তি সম্ভব: Trump
- ইসরায়েল মনে করে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি একটি অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা।
- অন্যদিকে ইরান দাবি করে, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য।
এমন এক সময়ে ট্রাম্পের বক্তব্য অনেককে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
🔎 বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের কূটনৈতিক কৌশল
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে “আব্রাহাম অ্যাকর্ড” নামে একটি ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল ও আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি করাতে সক্ষম হন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি এখন দাবি করছেন, একইভাবে ইরানকেও আলোচনায় আনা সম্ভব।
তাঁর কিছু আলোচিত কৌশল:
- সরাসরি চাপে রেখে কূটনীতি পরিচালনা
- অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাজি করানো
- সামরিক হুমকির মাধ্যমে আলোচনায় বাধ্য করা
এই কৌশলগুলোর সমালোচনা যেমন আছে, সফলতাও অস্বীকার করা যায় না।
🧭 ভবিষ্যতের সম্ভাবনা কী?
ট্রাম্পের মতে, ইরানের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযোগ নিয়েই শান্তিচুক্তির পথ তৈরি করা সম্ভব।
বিশ্লেষকেরা বলছেন:
- ট্রাম্প যদি ২০২৪ বা ২০২৮ সালের মার্কিন নির্বাচনে আবার জয়ী হন, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর নেতৃত্বে চুক্তির নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।
- তবে ইরান কট্টরপন্থী নেতৃত্ব ও ইসলামী আদর্শ থেকে সরে আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
⚖️ চুক্তির পক্ষ ও বিপক্ষের মতামত:


✅ চুক্তির পক্ষে যুক্তি:
- যুদ্ধের পরিবর্তে শান্তির পরিবেশ তৈরি হবে
- পারমাণবিক উত্তেজনা কমবে
- অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব
❌ চুক্তির বিপক্ষে যুক্তি:
- ইসরায়েল ও ইরানের মাঝে পারস্পরিক আস্থার সংকট রয়েছে
- আমেরিকার চাপে ইরান রাজি হবে না
- চুক্তির শর্ত নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা লাগবে
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্য ও বৈশ্বিক কূটনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও বাস্তবে এই চুক্তি সম্ভব কি না, তা সময়ই বলবে। তবে তাঁর ‘সহজেই’ শান্তিচুক্তির দাবি নিছক রাজনৈতিক প্রচারণা নাকি বাস্তবসম্মত কৌশল—সেটা এখন বিশ্লেষণের বিষয়।












