নূরজাহান বেগম বলেন, এখন পর্যন্ত জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ৮৬৪ জন শহীদের তালিকা তৈরি হয়েছে, এবং আহতের সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। তবে এই সংখ্যা এখনো পরিবর্তনশীল, কারণ প্রকৃত হতাহতের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।
উপদেষ্টা জানান, আরও ৫২ জনকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে, যার মধ্যে ২১ জন তুরস্কে ও ৩১ জন পাকিস্তানে যাবেন। তিনি বলেন, “বিদেশে পাঠানো এই রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ সাধারণ মানুষ, আর ৩০ শতাংশ ছাত্র।”
পাকিস্তানে চিকিৎসার যৌক্তিকতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নূরজাহান বেগম বলেন, “পাকিস্তান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হওয়ায় আহতদের চিকিৎসায় তাদের ভালো দক্ষতা রয়েছে। লাহোরে এমন রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালও আছে।”
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর আহতদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে। যাতে তারা চিকিৎসা বা অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সে জন্য সঠিকভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, হেলথ কার্ড প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চীন সরকার যে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করবে, তার জন্য তিস্তা প্রকল্প এলাকার আশপাশেই জমি চূড়ান্ত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। সেখানে জানানো হয়, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ২১ জনের দুটি চোখ এবং ৪৫০ জনের একটি চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন রক্ষার্থে ১৭ জনের পা এবং ৪ জনের হাত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলতে হয়েছে।